নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের ঘোষণা নরওয়ের

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নরওয়েতে পা রাখলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নরওয়ে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশনা মেনে তাকে গ্রেফতার করা হবে।

গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এরপর বেশ কয়েকটি দেশ আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে।

নরওয়ের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেয়াস ক্রাভিচ জানান, আইসিসির অন্যতম সদস্য হিসেবে ওই আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে নরওয়ের। তার দেশ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এতে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অসলোর অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটবে।

ক্রাভিচ বলেন, ‘এই অবস্থান আইসিসির ম্যান্ডেটের প্রতি ও আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়টির প্রতি নরওয়ের পুরো সমর্থন আছে।’

গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির রায় প্রকাশের পরই একে স্বাগত জানান নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইডে। বলেন, ‘গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে জবাবদিহি নিশ্চিতে আইসিসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।’

২০২৪ সালের মে মাসে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট ও হামাসের তিন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছিলেন আইসিসি প্রধান কৌঁসুলি করিম খান।

তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ নভেম্বরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।

পরবর্তীতে নেতানিয়াহু দাবি করেন, 'এই রায় ইহুদিবিদ্বেষী। এই রায়ের গুরুত্ব নেই।'

সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট বলেন, 'হেগের আদালতের এই বিচার স্মৃতিতে থেকে যাবে। এই রায় ইসরায়েল রাষ্ট্র ও হত্যাকারী হামাস নেতাদের একই আসনে বসিয়েছে। এই রায় হামাসের সহিংসতাকে সমর্থন করেছে। তারা যেভাবে শিশুদের হত্যা করেছে, নারীদের নির্যাতন করেছে, প্রবীণদের বিছানা থেকে তুলে নিয়ে গেছে, তা এই রায়ে সমর্থন পেলো।'