আ'লীগের দখলদারি, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির শুধু হাত বদল হয়েছে

রফিক মজিদ, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ০৪:০৮ দুপুর

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, আওয়ামিলীগের আমলের দখলদারি, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি চলমান রয়েছে, পরিবর্তন হয়েছে শুধু হাতের।
শনিবার বিকালে শেরপুর শহরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে "২০১৮ - ২০২৪ " কোটা সংস্কার থেকে রাষ্ট্র সংস্কার শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে আবু হানিফ আরও বলেন "আজকের এই শিরোনামটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ১৮ সালে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিলাম।সেই কোটা বাতিল হয়েছিল তখন,২৪ সালে সেই কোটা ফেরত আনার চেষ্টা করলে আবার আন্দোলন শুরু সেই আন্দোলন হাসিনার পতন নিশ্চিত করে। আমরা গত ৭ বছর হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলো। এই দেশের তরুণদের সংগঠিত করেছিলো, সেই তরুণরাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর শেরপুর জেলার আগের চলে চিত্র পরিবর্তন হয় নাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরও শেরপুরের সামীন্ত এলাকায় অবৈধ চুরি চালানের ব্যবসা বন্ধ হয়নি। শেরপুরের গারো পাহাড়ে অবৈধ পাথর এবং বালু উত্তোলন করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সেখানে দেখা গেছে সব দলের ঐক্য হয়েছে, মিল মিশে সবাই ভাগবাটোয়ারা করছে, প্রশাসন কিছুই বলে না। এখানে আওয়ামিলীগ রাজত্ব করতো এখন অন্য একটা দল রাজত্ব করে।
আওয়ামিলীগ দেশে গত ১৫ বছর দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলো । ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিডিআর হত্যাকান্ড, শাপলা হত্যাকান্ড, গুম খুন সহ এমন কোন অপকর্ম নেই যা আওয়ামিলীগ করে নাই। ৭২ এর পর শেখ মুজিব বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করেছিলো। শেখ মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হাসিনা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলো বাংলাদেশে।জনগণ সেই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিল। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আর কাউকে ফ্যাসিবাদ হতে দেওয়া হবে না।
প্রধান আলোচক হিসেবে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন বলেন, "২০১৮ কোটা সংস্কার আন্দোলনই এদেশের তরুণদের উজ্জীবিত করে। যখন আওয়ামী লীগের পতনের আশা বড় বড় রাজনৈতিক দল ও নেতারা ছেড়ে দিয়েছিলো,তখন গণঅধিকার পরিষদ আওয়ামী লীগ ও হাসিনার লেলিয়ে দেওয়া পুলিশের রক্তচক্ষু ও বুলেট উপেক্ষা করে হাসিনা পতন আন্দোলনের দাবানল জ্বালান। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার হাসিনার পতন ঘটে। যেই ২০১৮ কোটা সংস্কারই ২০২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করেছে সে ইতিহাসকে জুলাই ঘোষণা পত্রে অবজ্ঞা করা হয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণঅধিকার পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার আহবায়ক আরিফ আহমেদ , সদস্যসচিব শামসুজ্জামান শিবলুর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সোহাগ, কাজী হায়াৎ, মনিরুজ্জামান মনির, এডভোকেট এনামুল, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সহ সভাপতি, দূর্জয় হাসান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জামান সরকার, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি ওয়াজকুরুনি প্রমুখ।