হরিপুর তিস্তা সেতুর নিরাপত্তা হুমকির মুখে, উদ্বোধনের আগেই বালু উত্তোলনের ভয়াবহতা

আসাদুজ্জামান রুবেল
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৩ বিকাল
_original_1754215534.jpg)
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর-চিলমারী সংযোগকারী তিস্তা সেতুটি এখনো উদ্বোধনের আগেই হুমকির মুখে পড়েছে। সেতুর মাত্র ৪-৫শ মিটার পূর্বে চর হরিপুর এলাকায় তিস্তা নদী থেকে অবাধ ও অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করায় সেতুর ভিত্তি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হরিপুর গ্রামের ইসমাইল পাগলা ওরফে নুর ইসলামের ছেলে,গ্রাম পুলিশ মোজাহারের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে আসছে।তাদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীর, সাইদুল,রেজাউল,ফারুক,
বিশেষ করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)ও থানার পুলিশ ড্রেজার বন্ধ করতে গেলে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের তোপের মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হন।সর্বশেষ গত ৫ জুলাই চিলমারীর নৌ পুলিশ একটি অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করলেও সংঘবদ্ধ বালু চক্রের হামলায় পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আটককৃতকে ছিনিয়ে নেয়।এঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা হলেও আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করে।
এলাকার সচেতন মহল বলছেন,২৫ আগস্ট উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা তিস্তা সেতুটির অদূরেই এমন ভয়াবহ বালু উত্তোলন কার্যক্রম ভবিষ্যতে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে সেতুর ভিত্তির নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেতুর স্থায়িত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কলেজ শিক্ষার্থী জানান, অনেকদিন ধরেই এখানে বালু উত্তোলন হচ্ছে। প্রশাসনের সাথে একবার গোলমাল হয়েছিল, কিছুদিন বন্ধ ছিল, এখন আবার আগের মতো চলছে।তবে কারা করছে তা বলা মুশকিল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বালু চক্রটি এতটাই প্রভাবশালী যে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এ অবস্থায় দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নিলে উদ্বোধনের আগেই তিস্তা সেতু বড় বিপদের মুখে পড়তে পারে।