বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮ আশ্বিন ১৪৩২
শিরোনাম

শেরপুরে নদী ভাঙ্গন রোধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে মানববন্ধন 


  রফিক মজিদ, শেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ :  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ বিকাল

শেরপুর পৌরসভার দুইটি ওয়ার্ডের অর্ধশত বাড়িঘর নদীগর্ভে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষ ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

১৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের মাধবপুরস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর কার্যালয়ের সামনে পৌরসভার ৪ নং ও ৬ নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী বাসিন্দারা এ কর্মসূচি পালন করা হয়।


জানা গেছে, শেরপুর পৌরসভা সীমান্ত বরাবর খরস্রোতা পাহাড়ি মৃগী নদী বয়ে গেছে।  নদীর এক প্রান্তে পৌরসভার দু’টি ওয়ার্ডের প্রায় ২ কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে শতাধিক বাড়িঘর, কবরস্থান ও মসজিদ  রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রতিবছরের ন্যায় মৃগী নদীর পানির তোড়ে পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কসবা কাঠগর নামাপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ির ঘর এবং গাছপালা নদী গর্ভে চলে গেছে। শহরের ৪ নং ওয়ার্ডর সেরী ব্রিজ মোড় থেকে ৬ নং ওয়ার্ডের কসবা কাঠগর নামাপাড়া পুরাতন মসজিদ মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ পৌরসভার প্রধান রাস্তাটি মাঝখানে অর্ধেক নদী গর্ভে চলে গেছে। যেকোনো সময় ওই রাস্তার বাকি অংশ নদী গর্ভে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। একই সাথে আশপাশের আরো কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙ্গনের হুমকির মুখে রয়েছে। বাড়িঘর ছাড়াও স্থানীয় একটি কবরস্থান এবং মসজিদও হুমকির কবলে রয়েছে। 

কাঠগর নামাপাড়া এলাকার ভুক্তভোগী মাসুদ মিয়া জানায়, আমাদের এই নদীর ভাঙ্গন প্রতি বছরই হচ্ছে। গত ৩ দিন আগে আমার রান্না ঘরটি নদী গর্ভে চলে গেছে এখন থাকার ঘরটিও হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিবছর আমরা এই ভাঙ্গন ঠেকাতে পৌরসভায় এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করেও কোনো সমাধান পাচ্ছি না। 

একই এলাকার জামাল মিয়া জানায়, বর্ষার সময় বিশেষ করে নদী ভাঙ্গনের সময় পৌরসভা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসে আশ্বাস দিয়ে যায়। কিন্তু বর্ষা চলে গেলেই ওই আশ্বাসের কথা ভুলে যায় তারা। ফলে আমাদের ভোগান্তি কমছে না বর্ষার সময় বিশেষ করে নদীরতে যখন ঢলের পানি নেমে যায় এবং পানি কমে যায় তখন ভাঙ্গনের কবলে পড়ে আমাদের ঘরবাড়ি, ফসলের মাঠ ও গাছপালা।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিমুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়টি আমি শুনেছি আজ সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত