সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২
শিরোনাম

জাতীয়করণের দাবীতে সমাবেশে যোগদান করতে পূর্বধলায় শিক্ষক সমিতির প্রস্তুতি সভা


  মো: জায়েজুল ইসলাম

প্রকাশ :  ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৮ দুপুর

এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণের দাবীতে আগামী ১৩ আগস্ট (বুধবার) রাজধানীতে বিশাল গণসমাবেশের ডাক দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নেতারা। সেই গণসমাবেশে যোগ দিয়ে সমাবেশ সফল করতে নেত্রকোণার পূর্বধলায় বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের শহিদ মিনার চত্ত্বরে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপত্বি করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি পূর্বধলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো: বদরুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি পূর্বধলা উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো: রুহুল আমিন, সহ সভাপতি, লুৎফর রহমান, ফরিদ আহমদ বাবুল, একলাছ মিয়া, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো: গোলাম মোস্তফা, সাহিত্য সম্পাদক মো: মোসলেম উদ্দিন সংস্কৃতিক সম্পাদক নিউটন চন্দ্র সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জায়েজুল ইসলাম, সদস্য সদস্য উদ্দিন রতন খান, কামরুন্নাহার, স্কাউট সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম প্রমুখ। 

সভাপতি বদরুজ্জামান মিন্টু জানান, বেসরকারী শিক্ষা জাতীয় করণসহ বিভিন্ন দাবীতে এবারের সমাবেশ হবে সবচেয়ে বড় জমায়েত। সারাদেশ থেকে শিক্ষক কর্মচারীরা অংশগ্রহন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সমাবেশে যোগদিতে পূর্বধলা উপজেলার প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের যোগ দেওয়ার জন্য আহবান জানানো হলো। তিনি আরও জানান আগামী ১৩ আগষ্ট বুধবার ভোর ৪.৩০ মি. পূর্বধলা কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বাস ঢাকা সমাবেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।     


এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গণসমাবেশ সফল করতে দেশের ৬৪ জেলা থেকেই বাস ঢাকায় আসবে। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে। শিক্ষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

১৩ আগস্টের সমাবেশ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।’ জাতীয়করণের দাবি আদায়ের সমাবেশ সফল করতে প্রতিটি বিভাগে আটজন করে সমন্বয়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাবেশে আসা শিক্ষকদের নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৩০০ সেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা ২০দিন অবস্থান ও অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের জন্য ৫ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়। সে সময় সরকার শিক্ষা জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতিও দেয়, কিন্তু পরবর্তীকালে তা বাস্তবায়ন হয়নি। সরকার পতনের পর অন্তবর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈষম্য নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হয় এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি ও পরবর্তী বাজেটে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ শ্রান্তি বিনোদন ভাতা কার্যকরের ঘোষণা দেন তিনি। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সুস্পস্ট ঘোষণা সত্ত্বেও ২০২৫-২৬ অর্থবছর শুরু হলেও সরকারি নিয়মে বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও শ্রান্তি বিনোদন ভাতার প্রজ্ঞাপন এখনো জারি করা হয়নি। এ অবস্থায় দাবি আদায়ে আবারও রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা। ১৩ আগস্ট সরকারের পক্ষ থেকে দাবি আদায়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হবে সমাবেশ থেকে। সরকার যদি দাবি মেনে না নেয়, তাহলে ক্লাস বর্জনসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত