রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২
শিরোনাম

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে কাজ হারিয়ে দিশেহারা ৭৩ হাজার শ্রমিক


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ০৪ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৪ দুপুর

গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গত ২৯ জুলাই পর্যন্ত গাজীপুরের ৭২টি কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ছয় মাসেই বন্ধ হয়েছে ২৯টি। সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে বন্ধ হওয়ার অপেক্ষা আরও বহু কারখানা। ইতিমধ্যে ৭৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কলকারখানা ও পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য জানা গেছে।

পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকোর ১৩টিসহ মাহমুদ জিন্স, ডার্ড কম্পোজিট, পলিকন লিমিটেড, টেক্সটিল ফ্যাশন, ক্লাসিক ফ্যাশন, লা-মুনি অ্যাপারেলসসহ বিজিএমইএভুক্ত বড় ২০ প্রতিষ্ঠানও। প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, কারখানা বন্ধ হওয়ায় জেলায় বেকার হয়েছেন প্রায় ৭৩ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী।

জানা গেছে, গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে বন্ধ হয়ে গেছে গাজীপুর মহানগরীর গাছার আরকেএম অ্যাপারেলস কারখানা। চাকরি হারিয়ে বেকার হন কারখানার ২৬০ শ্রমিক। গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থাভাবে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় রপ্তানিমুখী বেক্সিমকো গ্রুপের ১৩টি পোশাক কারখানা। বেকার হন এসব কারখানার ২৮ হাজার ৫১৩ জন শ্রমিক। কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও করেছেন শ্রমিকরা।

জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক জোট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, চাকরি হারানো শ্রমিকদের খুব কমই অন্য কারখানায় চাকরি পেয়েছেন। প্রায় সব কারখানায় কার্যাদেশ কমে গেছে। নতুন নিয়োগ নেই বললেই চলে। তা ছাড়া প্রতিনিয়তই নতুন করে শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। বেকার পোশাক শ্রমিকরা চাকরি ছেড়ে অটোরিকশা চালনা, ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়েছেন।

তিনি জানান, নারী পোশাক শ্রমিকদের মধ্যেও অনেকে অন্যত্র গিয়ে পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়েছেন। অনেকে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। আবার অনেকে গাজীপুরে থেকে টেইলারিং, কাপড়ের দোকানসহ বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে গাজীপুরে শ্রমিকপল্লীতে চলছে হাহাকার।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গাজীপুর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরে ৪৩টি কারখানা বন্ধ হয় গত জানুয়ারিতে। বেক্সিমকোর ১৩টিসহ বাকি ২৯টি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে গত ছয় মাসে। সব মিলিয়ে বেকার হয়েছেন ৭৩ হাজার ১০৩ জন শ্রমিক। বন্ধ কারখানাগুলোর বেশির ভাগই কাজ না থাকা, কার্যাদেশ বাতিল এবং আর্থিক সংকটে বন্ধ হয়েছে।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গাজীপুরের সহকারী মহাপরিদর্শক (সাধারণ) মো. রবিউল ইসলাম বাঁধন জানান, দেশের পোশাক কারখানাগুলো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। অধিদপ্তর কারখানা বন্ধের সঠিক কারণ নির্ণয় ও কারখানা চালু করতে করণীয় বিষয়ে কাজ করছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত