গাইবান্ধায় পৈত্রিক জমি জবর-দখলের চেষ্টা, আতঙ্কে মালিক পরিবার

আসাদুজ্জামান রুবেল
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ দুপুর
_original_1758432194.jpg)
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে আইল-সীমানা উঠিয়ে ফেলা, ঘরের খুঁটি ভাংচুর ও গাছ রোপণের মাধ্যমে জবর-দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা বিরাজ করছে।সাপমারা ইউনিয়নের মাদারপুর গ্রামের আতাউর রহমান সাবু জানান,উক্ত সম্পত্তি তাঁদের পূর্বপুরুষ মৌরশ সভাতুল্যা মন্ডল গংরা ২একর ৮৮ শতাংশ জমি সুফল মাঝি কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক হন।পরবর্তী সময়ে ১৯৪০ সালে এই জমি মৌরশ সভাতুল্যা মন্ডল গংদের নামে সিএস রেকর্ড ভুক্ত হয়।যদিও এসএ ও বিআরএস জরিপে ভুলক্রমে রংপুর সুগার মিলের নামে খতিয়ান তৈরি হয়, বিষয়টি ধরা পড়লে তিনি গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতের ২য় আদালতে মোকদ্দমা (নং-১৩/২০২৫) দায়ের করেন,যা বর্তমানে বিচারাধীন।এ অবস্থায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে ফিলিমন বাস্কে সহ আরও কয়েকজন নালিশভুক্ত জমিতে প্রবেশ করে আইল-সীমানা তুলে ফেলে,ঘরের খুঁটি উপড়ে ফেলে, কংক্রিটের খুঁটি ভেঙে ফেলে এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপণ করে।এসময় তারা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বলে,জমিতে প্রবেশ করলে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে।এতে করে বাদীর পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।ইতিপূর্বে একই জমি নিয়ে তৃতীয় পক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে অভিযোগ দায়ের করলে স্থানীয় প্রশাসন উভয়পক্ষকে নালিশী জমিতে প্রবেশ না করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছিলেন।আতাউর রহমান(সাবু)গং পরিবার প্রশাসনের সেই নির্দেশ মেনে চলে আসলেও প্রতিপক্ষ সম্প্রতি আবারও জোর করে জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।জমির তফসিল অনুযায়ী,গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাদারপুর মৌজার জে.এল নং-১২০,সাবেক খতিয়ান নং-৮৩ এর দাগ নং-১১৭৭ এ ৩৭ শতক,সাবেক খতিয়ান নং-০২ এর দাগ নং-২১৪৯ এ ১৪০ শতক এবং বর্তমান খতিয়ান নং-০২ এর হাল দাগ নং-১২১৬ এর ২৮৮.৯৫ একরের মধ্যে ২৫৮ শতক নালিশভুক্ত জমি রয়েছে।
উক্ত বিষয়ে আতাউর রহমান সাবু ১৭ই সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা প্রশাসনের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তিনি জানান চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে উক্ত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করতে না পারে,সে ব্যাপারে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।