বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২
শিরোনাম

ত্রিশালে কালের সাক্ষী ৫০০ বছরের পুরোনো শিমুল গাছ


  মো: শরিফুল ইসলাম

প্রকাশ :  ২৩ জুন ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বালির বাজার এলাকার অতি নিকটে চিনু মোড়লের বাড়ির পাশেই একটি বিশাল আকৃতির পুরোনো শিমুল গাছ কালের সাক্ষী হয়ে পাঁচশত বছর ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে এখনও। এলাকার মানুষের দাবি গাছটির বয়স অন্তত পাঁচশত বছর হবে। এই পুরোনো শিমুল গাছটি নিয়ে জড়িয়ে আছে নানা কল্প কাহিনী। সৌন্দর্যমন্ডিত প্রাচীণ এই গাছটিকে নিয়ে রয়েছে নানা গল্প। গাছের গোড়ায় দাঁড়ালে নিজেকে উচ্চতার দিক থেকে অতিক্ষুদ্র মনে হয়। আবার কখনও বা মনে হয় পাহাড়ের পাদদেশে দাঁড়িয়ে থাকার অনুভব। এর বিশালতায় দর্শনার্থীদের মন ভরে যায়। আলোচিত এই গাছটি দেখতে দূর দূরান্ত থেকেও ছুটে আসেন অনেকে।
 
পোলাও মিষ্টি বিতরণ করেন। তারা মনে করে এ গাছে অলৌকিক কোনো কিছু আছে। তাই মনের বাসনা পুরণ করার জন্য দূর থেকে ছুটে আসেন।
 
এ শিমুল গাছে যখন টকটকে লাল শিমুল ফুল ফোটে তখন এক অপরুপ দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এই গাছটির নিচে অনেকেই মনের বাসনা পূরণের জন্য মানত হিসাবে গরু খাসি, মোরগ জবাই করে রান্নাবান্না করে। গাছ দেখার জন্য আগত ভক্তদের উদ্দেশ্য একটাই- যেন তাদের মনের বাসনা পুরণ হয়। স্থানীয়রা অনেকেই জানান, প্রায়শই এখানে বিভিন্ন এলাকার মানুষ গাছটিকে একনজর দেখার জন্য এসে ভিড় করে থাকেন। তারা মানত করেন, স্থানীয়দের মাঝে মোরগ-
 
স্থানীয় বাসিন্দা মোকছেদ আলী জানান, 'এই পুরাতন শিমুল গাছটি কাটার জন্য অনেকেই চেষ্টা করেছে কিন্তু কোন অবস্থাতেই কাটা যায় না। যেই গাছটি কাটতে যায় সেই অসুস্থ হয়ে যায়। শুনেছি অনেক আগে এ গাছ কাটতে এসে নাক, মুখ দিয়ে রক্ত এসেও মারা গিয়েছেন একজন। এটি আমাদের এলাকার পুরাতন একটি গাছ। এটি আমাদের ঐতিহ্য।' এভাবেই রূপকথার গল্পের মতো কথাগুলো বললেন মোকছেদ আলী। তার কথাগুলো হাস্যকর মনে হলেও এখানকার মানুষজন
 
তাই বিশ্বাস করেন। জমির মালিক ইউসুফ আলী জানান, 'এই বিশাল আকৃতির শিমূল গাছটির বয়স কমপক্ষে হলেও পাঁচশত বছর হবে। পূর্বপুরুষের মুখে শুনে এসেছি এই প্রবীণ শিমুল গাছের কথা। এছাড়াও এই গাছটি নিয়ে অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। তাই মানুষ এ গাছে মানত পূরণ করতে আসেন।' প্রতিবছর ফাল্গুন মাস এলে গাছে শিমুল ফুলের সমারোহ সৌন্দর্য বৃদ্ধ করে এই প্রবীণ গাছটি। ওই সময় এই গাছটি ফুলে লালে লাল হয়ে যায়। গাছের ফুলে ফুলে মৌমাছি, পাখিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। এই শিমূল বৃক্ষটি ত্রিশালের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এমনটাই মনে করেন আগতরা।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত