সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
শিরোনাম

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার নবগঠিত কমিটিতে শহীদুল আমিন খসরু কে যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত করায় ত্রিশালে সংবর্ধনা


  মো: শরিফুল ইসলাম

প্রকাশ :  ২২ জুন ২০২৫, ০৯:১৯ রাত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার নবগঠিত কমিটিতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহীদুল আমিন খসরু কে যুগ্ম আহবায়ক মনোনীত করায় ত্রিশালে সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। শহীদুল আমিন খসরু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এর আগে দুপুরে উপজেলার সীমান্তবর্তী বগার বাজার থেকে শত শত মোটরসাইকেল বহর নিয়ে তাঁকে স্লোগান স্লোগানে স্বাগতম জানিয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে পৌর শহরের পাট মহলে এই গনসংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শহীদুল আলম খসরু কে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান।

পৌর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তাঁতীদলের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লাহ আল মামুন সরকারের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে শহিদুল আমিন খসরু বলেন‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির কমিটি হয়েছে। এই কমিটিতে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে আপনাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার জন্য। ১৫ বছর যারা বিএনপির পক্ষে কাজ করেছেন, প্রত্যকটি উপজেলা, ইউনিয়নের সবাইকে আমি যথাযথ মূল্যায়ন করতে চাই। কাউকে অবমূল্যায়ন করা হবে না, তবে সবাইকে কাজ করতে এবং দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে। বিগত দিনে যাদের হাতে কমিটি ছিল তারা পকেট কমিটি করে উপজেলা ও পৌর বিএনপিকে শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত করতে দেয়নি। এখন তাদের জ্বালা হচ্ছে কারণ তারা আওয়ামী লীগের দোষর। এই বিএনপির পতাকা কোনও জাতীয় পার্টির সন্তানদের না। যারা দলের সিদ্ধান্ত মানেন না তারা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত মানেন না। তিনি তার বক্তব্যে সকলকে একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান। আগামীতে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তাকেই ধানের শীষে ভোট দিতে বলেন। একই সাথে তিনি আওয়ামীলীগ ও তার দোসরদের সাথে সকলকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেন। এছাড়াও তিনি আরো বলেন যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত রেখে চলছে তাদেরকে দল থেকে কোন পদ পাবে না।

আপনারা জানেন গত ১৫ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে, মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। খুন, গুম ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। ভিন্ন মতের ভিন্ন চিন্তার ইসলামি তৌহিদি জনতাকে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে গত ১৫ বছর খুন করেছে।  

তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে খুনি হাসিনা ভারতে পালায়ন করেছে। আমরা বারবার বলে এসেছি এই ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে যদি বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হয় তাহলে দুই হাজার শহীদ ও ৩০ হাজার আহতের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যে অভ্যুত্থান সেই শহীদ এবং আহত পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে আগামী দিনে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কিনা। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে থাকবে কি থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে আপনারা জানেন এখানে সন্ত্রাসী হয়েছে, চাঁদাবাজি হয়েছে, টেন্ডারবাজি হয়েছে, তরুণকে খুন করা হয়েছে, কিশোর গ্যাং হামলা হয়েছে, এখানে রক্ত ঝরানো হয়েছে। এখানে কিশোর গ্যাংয়ের নামে সন্ত্রাসী ত্রাসের বাহিনী রাখা হয়েছে। সেই সন্ত্রাসীরা আজও ফেসবুকে ওপেন পোস্ট দিচ্ছে, নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এছাড়াও জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা শুরু হয়েছে। আমরা বলে দিতে চাই ৫ আগস্ট যে তরুণ ছাত্র-জনতা এদেশের নতুন সূর্য ছিনিয়ে এনেছে, তারা হাসিনাকে বিদায় করেছে। তাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিশাল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মোঃ মোশারফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির আহমেদ রনি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ আজাহারুল ইসলাম, উপজেলা যুবদল নেতা মাহমুদুল হাসান সুমন, জিসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক হিজবুল ইসলাম বাশার,  উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ শ্যামল, বৈলর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাফিউল ইসলাম সানি, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রবি, সানজিদ আহমেদ, আরমান হোসেন, উপজেলা তাঁতীদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল হক আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফেজ কামাল হোসেন, আব্দুল মালেক, আশিকুর রহমান ফিরোজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল যুগ্ম আহ্বায়ক কাউছার আহমেদ লিমন, সুজন মাহমুদ, সাজ্জাদুল ইসলাম সজীব, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের ওবাইদুল হক মিলন, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ ইকবাল হোসেন, মুকসেদুল ইসলাম ফকির, নজরুল কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন খাঁন, উপজেলা ছাত্রদলের মামুনুর রশিদ মামুন, মোঃ শামীম মিয়া, সহ প্রমূখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত