নেত্রকোনায় জেলা বিএনপির “দুর্দিনে কান্ডারী ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হক”

মো: আরিফুল ইসলাম
প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৫, ০৬:৩১ বিকাল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র রাজনীতিতে ত্যাগ, সাহসিকতা এবং আপোষহীন মনোভাব নিয়ে যারা রাজপথে থেকেছেন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মোঃ আনোয়ারুল হক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই নেতা বিএনপির দুঃসময়ে থেকেছেন সম্মুখসারিতে, লড়েছেন সংগঠনের অস্তিত্ব রক্ষায়।
নেত্রকোনা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামের এই কৃতি সন্তান শুধু একজন খ্যাতনামা অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জন নন, বরং একজন অভিজ্ঞ ও পরিশ্রমী রাজনীতিকও বটে। তাঁর মালিকানাধীন "নাবিলা ডায়াগনোস্টিক সেন্টার" যেমন জেলার স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখছে, তেমনি রাজনীতির ময়দানে তিনি একজন নির্ভরযোগ্য ও সাহসী সংগঠক হিসেবে সুপরিচিত।
১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতির সূচনা করেন তিনি। বিএনপির রাজনীতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে ২০১৪ সালে নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। পরে ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দলের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রভাগে থাকা এই নেতার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত নেত্রকোনা মডেল থানায় ১১টি মামলা দায়ের হয়েছে, যেগুলো স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক। তার প্রতিষ্ঠানেও একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে, যার প্রতিবাদে এলাকায় গণআন্দোলন হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডা. মোঃ আনোয়ারুল হক যদি দলীয় মনোনয়ন পান, তবে নেত্রকোনা-২ আসনে সরকারবিরোধী শক্তির পক্ষ থেকে তিনি হবেন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ব্যক্তিজীবনে তিনি সদালাপী, কর্মীবান্ধব এবং দলের আদর্শে অনুগত। তাঁর নিজের ভাষায়—“বিএনপি-ই আমার জীবন, বিএনপি-ই আমার মরণ। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আজীবন রাজনীতির মাঠে থাকতে চাই।”
ডা. মোঃ আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বগুণ, সাহস এবং আত্মত্যাগ আজ তাঁকে তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে এক সাহসী কান্ডারীতে পরিণত করেছে।