বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শিরোনাম

১৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙে আসামে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টি


  আরবান ডেস্ক

প্রকাশ :  ০২ জুন ২০২৫, ১২:৪৪ দুপুর

ভারতের আসাম রাজ্যে জুন মাসের প্রথম দিনেই নেমে আসে ভয়াবহ বৃষ্টি। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিলচরে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৪১৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ১৮৯৩ সালের পর একদিনে সর্বোচ্চ। এতদিন ধরে বজায় থাকা ১৩২ বছরের পুরোনো ২৯০.৩ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড রবিবার (১ জুন) ভেঙে যায়। এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) জানায়, উপরের বায়ুস্তরে সাইক্লোনিক ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নস্তরে নিম্নচাপ রেখার মিলিত প্রভাবে এমন অস্থির আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। পূর্ব উত্তর প্রদেশ থেকে প্রসারিত একটি নিম্নচাপ রেখা আসাম ও অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে সক্রিয়তা সৃষ্টি করেছে।

এর আগে ২০২২ সালে বারাক নদীর বেথকুন্ডি এলাকায় বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল শিলচরে। ওই সময় শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এবারও বৃষ্টির তীব্রতা এবং অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত তিন দিনে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো—আসাম, মণিপুর, ত্রিপুরা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ৩১ মে মিজোরামে স্বাভাবিকের তুলনায় ১,১০২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। একইভাবে মেঘালয়ের বিভিন্ন জেলায় ২৮ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত টানা ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে শিলং-এর পাশে চেরাপুঞ্জিতে ৭৯৬ মিলিমিটার এবং মৌসিনরামে ৭৭৪.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

৩০ মে একদিনে চেরাপুঞ্জিতে রেকর্ড হয় ৩৭৮.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি। ফলে পাঁচ দিনে মোট বৃষ্টিপাত দাঁড়ায় ৯৯৩.৬ মিলিমিটারে।

মেঘালয়ের অন্তত ১০টি জেলা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ত্রিপুরায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। মণিপুরে নদীর পানি উপচে পড়া ও বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ এবং অন্তত ৩,৩৬৫টি ঘরবাড়ি।

এই অস্বাভাবিক আবহাওয়া পরিস্থিতি গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে, বৃষ্টিপাত ও তার পরবর্তী প্রভাব আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত