শেরপুরে পাহাড়ি সব নদীর পানি বাড়ছে

রফিক মজিদ, শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৫, ০৯:৩৭ রাত

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এর মধ্যে নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
২ জুন সোমবার বিকেলে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে পাওয়া গেছে। পাহাড়ি ঢলে জেলার নিম্নাঞ্চল ও খাল-বিলে পানি বেড়েছে। তবে এখনো কোনো বাড়িঘর প্লাবিত হয়নি।
এদিকে সকালে ঝিনাইগাতীর ধানশাইল ইউনিয়নের কাড়াগাঁও এলাকায় সোমেশ্বরী নদীর পাড় ভেঙে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।
পাউবোর তথ্যমতে, ভারতের মেঘালয়ে গত কয়েক দিন বৃষ্টিপাত হওয়ায় সোমবার সকালে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে দুপুর নাগাদ পানি কমতে শুরু করে। বিকেল পৌনে ৪টায় পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে বেড়েছে ভোগাই নদীর পানি। নাকুগাঁও পয়েন্টে ১৩৪ সেন্টিমিটার ও নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ৬৬ সেন্টিমিটার এবং সদরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৫৯৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ঝিনাইগাতীতে সোমেশ্বরী ও মহারশি নদীর পানি সকালে বাড়লেও দুপুর থেকে কমতে শুরু করে।
উজানের পানি নেমে নালিতাবাড়ীর কলসপাড় ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। একই সঙ্গে খাল-বিলে পানি বেড়েছে। যেকোনো সময় পানি আরও বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান বলেন, উজানে বৃষ্টিপাত হওয়ায় শেরপুরের নদ-নদীর পানি সমতল বেড়েছে। তবে আগামী ১২ ঘণ্টায় পানি কমতে শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সোমেশ্বরী নদীর পাড়ের ভাঙা অংশ দিয়ে নিম্নাঞ্চলে কিছুটা পানি প্রবেশ করেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।