শেরপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

শেরপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের  রথযাত্রা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতি বছর পঞ্জিকা অনুযায়ী আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথি থেকে রথযাত্রা শুরু হয়। আর শুক্লপক্ষের ১১দিন পর জগন্নাথের ফের প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে এই যাত্রা শেষ হয়। যা উল্টো রথ নামে বিখ্যাত। হিন্দুদের বিশ্বাস যে জগন্নাথ রথযাত্রায় অংশ নিলে জীবনের যাবতীয় দুঃখ দূর হয়। জীবনে নেমে আসে অপার সুখ।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১২ টার দিকে শহরের এই অন্যতম রথযাত্রা শহরের গোপালবাড়িস্থ শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দির থেকে শুরু হয়ে শহরের ভেতর দিয়ে ঘুরে নয়নীবাজার কালীমাতা মন্দিরে যায় সেখান থেকে আবার পুনরায় শ্রীশ্রী গোপাল জিউর মন্দির আসে। 

আগামী ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রা শুরুর আগ পর্যন্ত রথযাত্রার মূল উৎসব এই মন্দিরেই পালিত হবে।

সকাল থেকেই দলে দলে নানা বয়সের জগন্নাথ দেবের ভক্তদের সমাগম হতে থাকে কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দিরে  ভক্তের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। মন্দির উচ্চ শব্দে বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ ধ্বনি ও সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা উলুধ্বনি দিতে দিতে ভক্তদের রুশির টানে এগিয়ে যায় জগন্নাথ দেবের রথ। সর্ব ধর্মের হাজারো মানুষ পথের পাশে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রীশ্রীজগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব।

সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীদের মতে, এই রথে থাকেন শ্রীকৃষ্ণ, সুভদ্রা এবং বলরাম। তাদের বিশ্বাস রথের উপরে  বামন জগন্নাথ দেবের দর্শন করলে আর পুনর্জন্ম হয় না এবং সেই সাথে রথের দড়ি ভক্তিসহকারে টানা মহাপূণ্যের স্বীকৃতি দেয়া আছে সনাতন ধর্মেও।

ধর্মীয় এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোন বিশৃঙ্খলা না করতে পারে সেই লক্ষ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। 

সেই  সাথে রথযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করতে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম স্বয়ং সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর আহ্বায়ক জিতন্দ্র মজুমদার, সিনিয়র  যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব দাম ঠান্ডু, সদস্য সচিব সূব্রত দে, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মাসুদ, শেরপুর প্রেসক্লাবের কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদসহ হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।