শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২
শিরোনাম

ক্ষমতার জুড়ে প্রতিপক্ষের ওয়ারিশ সনদ আটকালেন পৌরকর্মী


  মোঃ হাসান খান

প্রকাশ :  ১৯ জুন ২০২৫, ০৫:২১ বিকাল

ছবি- সেলিনা আক্তার

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ পৌরসভার নিম্নমান সহকারী সেলিনা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের ওয়ারিশান সনদ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। 

পৌরশহরের বাসিন্দা শাহরিয়ার ইমান রাতুল নামে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, সেলিনার সাথে তাদের জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরই  জেরে দীর্ঘদিন ধরে তার ওয়ারিশান সনদ আটকে রেখেছেন সেলিনা।

এ ঘটনায় তিনি পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গত ৪ জুন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

আজ (১৯ জুন) বৃহস্পতিবার পৌর প্রশাসক ও ইউএনও জুয়েল আহমেদ অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব আলাদা বিষয়। কোনো অবস্থাতেই কাউকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার একদমই সুযোগ নেই। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুক্তভোগী  শাহরিয়ার ইমান রাতুল মোহনগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দৌলতপুরের বাসিন্দা। 
ভুক্তভোগী শাহরিয়ার ইমান রাতুল অভিযোগে জানান, তিনি মে মাসের ৯ তারিখ ওয়ারিশান সনদপত্রের জন্য পৌরসভায় আবেদন করেন। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও রাতুল এখনো তার প্রয়োজনীয় সনদপত্রটি পাননি।
 এতে তার জমি খরিজ সংক্রান্ত কাজ করতে পারছেন না। পরে পৌরসভায় খোঁজ নিতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, তার আবেদনটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করছেন পৌরকর্মী সেলিনা আক্তার।

তার দাবি, পৌরসভার নিম্নমান সহকারী সেলিনা আক্তারের সাথে তার পারিবারিক জমিজমা নিয়ে ২০২২ সালে একটি বিরোধ দেখা দেয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা চলমান রয়েছে।  সেই বিরোধের জের ধরেই সেলিনা আক্তার পৌরসভার প্রভাব খাটিয়ে তার নাগরিক অধিকার খর্ব করছেন এবং তাকে হয়রানি করছেন।

এছাড়াও তিনি জানান, ২০২৩ সালে নিজের বাসার সামনে একটি মার্কেট নির্মাণের অনুমতির জন্য পৌরসভায় আবেদন করেছিলেন, কিন্তু সেটিও অনুমোদিত হয়নি। সেখানেও প্রভাব খাটিয়ে তাকে অধিকার বঞ্চিত করা হয়েছে।

শাহরিয়ার ইমান রাতুল পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত অভিযোগপত্রে বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার নিম্নমান সহকারী অভিযুক্ত সেলিনা আক্তার বলেন, আমার কাছে এমন কোন আবেদন দেওয়া হয়নি। হয়তো অফিসের অন্য কারো কাছে দিয়েছে। আমি কারো আবেদন আটকাতে হস্তক্ষেপ করিনি। অভিযোগটি মিথ্যা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত