হজের সফরে নারীর করণীয়

আরবান ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ১১:৩৪ দুপুর
_original_1746682474.jpg)
ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান হজ। সামর্থ্যবান নারী ও পুরুষের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। নারীদের হজের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো।
মাহরাম নিয়ে সফর করা : হজের সফরে নারীর সঙ্গে মাহরাম পুরুষ (যাদের সঙ্গে বিয়ে বৈধ নয়) থাকা আবশ্যক। মাহরাম না থাকলে বা মাহরামের খরচ বহনের সক্ষমতা না থাকলে নারীর জন্য হজে যাওয়া আবশ্যক নয়।
ইহরামের পোশাক পরিহার : নারী হাজির জন্য ইহরামের পোশাক পরিধান করা আবশ্যক নয়। সে মুখ-খোলা সাধারণ পোশাক পরিধান করবে, এমনকি মাথাও ঢাকতে পারবে। বিশিষ্ট আলেমরা নারীদের সেলাইহীন ইহরামের পোশাক পরতে নিষেধ করেন। কেননা এতে আব্রু প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
ঋতুচক্র বন্ধে ওষুধ সেবন : হজের সময় ঋতুচক্র বন্ধ রাখতে ওষুধ খাওয়া বৈধ। আধুনিক যুগের আলেমরা চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এমন ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। কেননা বর্তমান যুগে হজ অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
নিজেকে আড়ালে রাখা : হজের সময় বিপুলসংখ্যক নারী ও পুরুষের সমাবেশ ঘটে। তাই নারী হাজিরা যথাসম্ভব পুরুষ থেকে দূরে থাকবে এবং নিজেকে আড়ালে রাখবে। এমন পোশাক পরবে না, যাতে শরীরের আকার-অবয়ব প্রকাশ পায়।
ভিড় এড়িয়ে চলা : হজের মূল কার্যক্রমের সময় যথেষ্ট ভিড় তৈরি হয়। নারী হাজিরা সাধ্যমতো ভিড় এড়িয়ে চলবে। ভিড়ের সময় চেষ্টা করবে নারীদের সঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে থাকতে।
তালবিয়া নিচুস্বরে পড়া : তালবিয়া পাঠ হজের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ। শরিয়তের বিধান হলো পুরুষ উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে এবং নারী নিঃশব্দে তালবিয়া পাঠ করবে।
নারীদের সঙ্গে দলবদ্ধ থাকা : হোটেলকক্ষ ও তাঁবুতে অবস্থানের সময় নারীদের সঙ্গে দলবদ্ধ থাকাই উত্তম, বিশেষত যখন নিজের মাহরামের সঙ্গে অন্য পুরুষ একই কক্ষে বা তাঁবুতে অবস্থান করে। এ ছাড়া তাওয়াফ ও সায়ির সময়ও নারীদের সঙ্গে চলাচল করা উত্তম।
মানুষের চুল না খোলা : হজ ও ওমরাহ শেষ করার পর পুরুষের জন্য হলক করা এবং নারীদের জন্য সামান্য চুল ছাঁটার বিধান আছে। চুল ছাঁটার প্রয়োজন হলে নারীরা মাহরামের সহযোগিতা নেবে। অন্য পুরুষের সহযোগিতায় বা তাদের সামনে তা করবে না।
কেনাকাটায় সময় নষ্ট না করা : নারী ও পুরুষ কারও উচিত নয় হজের সফরে কেনাকাটা ও অনর্থক ঘোরাফেরায় সময় নষ্ট করা। কেননা হজের সফরের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান। হয়তো জীবনে দ্বিতীয়বার তা আর পাওয়া যাবে না।
ছবি ও সামাজিকমাধ্যম থেকে দূরে থাকা : হজের সফরে ছবি তোলা ও সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ করার মন্দ প্রবণতা দেখা যায় বহু মানুষের ভেতর। এই প্রবণতা যদিও পুরুষের ভেতরই বেশি। তবু নারীদের উচিত তা পরিহার করা। কেননা ইবাদতের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর স্মরণ ও সন্তুষ্টি লাভ। তা প্রচার করে সুনাম কামাই করা মুমিনের উদ্দেশ্য হতে পারে না।
দ্রুত ফিরে আসা : নারী-পুরুষ সব হাজি হজের পর যথাসম্ভব দ্রুত দেশে ফিরে আসবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কারও প্রয়োজন শেষ হয়, তখন সে যেন দ্রুত পরিবারের কাছে ফিরে যায়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৪২৯)