স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন শ্যামগঞ্জ বিনির্মাণে কাজ করছেন ঢাবি সূর্যসেন হলের ভিপি মারিয়াম সোহান
_1712394816.jpg)
মেহেদী হাসান রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৬ সকাল
_original_1712394954.jpg)
ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত দিক থেকে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে উৎপন্ন সোয়াই নদীটি পূর্বধলা ও গৌরীপুরের শ্যামগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কালের বিবর্তনে এই নদীটি ধীরে ধীরে পলি দিয়ে ভরাট হয়ে যায়। এখন নদী বলতে এর কোন অস্তিত্ব নেই। যে যেভাবে পারে নদী দখল করেছে এবং স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো এই নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানা ও নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানা বেয়ে সোয়াই নদী খনন কাজ এখন চলমান। কিন্তু শ্যামগঞ্জ বাজারের আশেপাশে নদীর অস্থিত্ব নেই বরং এখানে খনন করার মতো জমিও নেই। এই অংশের নদীর নির্ধারিত জায়গা ভূমিদস্যুদের দখলে। সেই সোয়াই নদী খননের সময় ভূমিদস্যুদের হাত থেকে নদীকে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি পালন করেছেন শ্যামগঞ্জের তরুন সমাজের আইকন ঢাবি শিক্ষার্থী মারিয়াম জামান খান সোহান।
সোয়াই নদীর পূর্নাঙ্গ খননের দাবিতে তরুণ সমাজকে নিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন তিনি। মানববন্ধনে মারিয়াম সোহান বলেন, “সোয়াই নদীর তীরে ভূমিদস্যুদের কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। মেইন রোডের পাশে সোয়াই নদীর তীরে ভূমিদস্যুদের যত অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা সড়িয়ে ফেলতে হবে এবং সোয়াই নদীর তীর ঘেষে তরঙ্গ হলের গেইট থেকে মেইন রোডের দক্ষিণ পাশ হয়ে অবৈধ দখল দারিত্ব উচ্ছেদ করে মাঝিপাড়া পর্যন্ত দৃষ্টি নন্দন ওয়াক ওয়ে এবং শিশুদের জন্য একটা পার্ক নির্মাণ করার দাবি জানাচ্ছি, এই কাজ গুলো সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো।”
তাছাড়াও ঐতিহাসিক শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠ দখলমুক্ত করার ডাক দিয়ে, শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠ দখলমুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন করেন এবং এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন তরুন সমাজ। ফলাফলে খুব অল্পসময়ের মধ্যে মাঠটি দখলমুক্ত করে খেলাধুলার উপযোগী করে তুলেন।
তাছাড়া সোহানের নেতৃত্বে শ্যামগঞ্জের তরুণদের নিয়ে, শ্যামগঞ্জের ঐতিহাসিক শশ্মানঘাট ভূমিদস্যুদের থেকে রক্ষা করার প্রস্তাবিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন এবং এটি সার্বজনীন শশ্মানঘাটে রূপ পায়।
মারিয়াম সোহানের উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে নির্মিত পাবলিক টয়লেট খুলে দিতে ৭২ ঘন্টা সময় বেঁধে দেয়া হয়। ফলশ্রুতিতে স্টেশন কর্তৃপক্ষ নির্মাণের অর্ধ যুগ পরে রেলওয়ে স্টেশনের পাবলিক টয়লেট চালু করে এবং তরুণরা স্টেশনের বিভিন্ন জায়গায় যথাস্থানে ময়লা ফেলার জন্য ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য লিফলেট বিতরন করেন।
এরকম সাহসী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাধ্যমে শ্যামগঞ্জের সকলশ্রেণীর মানুষের কাছে সোহান জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তার এসব উদ্যোগের কারণে শ্যামগঞ্জের তরুনসমাজ অনেক অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
মারিয়াম সোহান বলেন একটি স্মার্ট ও পরিচ্ছন্ন শ্যামগঞ্জ গড়ে তুলতে আমাদের যা কিছু করার দরকার আমরা তাই করবো। তিনি এ কাজে তরুনসমাজের পাশাপাশি সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।