"হাতি মানুষের সহাবস্থানে কাজ করবে সরকার": সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ক্লোডিয়া নকরেক কেয়া
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৫, ০৭:১০ বিকাল

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘গারো পাহাড়ে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন করে হাতির জন্য অভয়ারণ্য গড়ে তোলা হবে। বিশ্বের বহু জায়গায় হাতি ও মানুষের সহাবস্থান রয়েছে। কোথাও সংঘাত হয় না। কিন্তু আমাদের জায়গা ও খাবার কম। এতে হাতির যে পরিমাণ খাবার ও হাঁটার জায়গা প্রয়োজন, তা আমরা দিতে পারছি না। এখন কী করলে হাতি আর লোকালয়ে আসবে না, মানুষ এবং বন্যপ্রাণীদের সহাবস্থানের জন্য আমাদের ভাবতে হবে আমরা সেই বিষয়ে কাজ করব।’
আজ সোমবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওধারা-কাটাবাড়ি এলাকার প্রস্তাবিত পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বন বিভাগকে ইতোমধ্যে বনে লাগানো আকাশ মনি এবং ইউক্যালিপটাস গাছ দ্রুত অপসারনেরও নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর দুই সপ্তাহেই ১২টি হাতি মারা গেছে। এটা কোনো স্বাভাবিক ব্যাপার না। এই সমস্যাটা বহুদিন যাবৎ অবহেলিত হতে হতে চরমে পৌঁছে গেছে। যার ফলটা এখন আমরা দেখছি। যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে হাতি-মানুষের সহাবস্থান সৃষ্টি করা।’
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তাই কী করলে সমস্যার সমাধান হবে, তা মানুষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের কতটুকু জায়গা হাতির উপযোগী আছে এবং কতটুকু জায়গা হাতির উপযোগী করতে পারলে হাতি আর লোকালয়ে বের হয়ে আসবে না, আমরা তা নিয়ে কাজ করব। হাতি মারা যাবে এটা যেমন কাম্য নয়, তেমনি মানুষ মারা যাবে এটাও কাম্য নয়। দাওধারা পরিদর্শনের পর তিনি মধুটিলা ইকোপার্কে (ই আর টি ) ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের সাথে মতবিনিময় করেন এবং তাদের মধ্যে হাতি তাড়নোর জন্য সুরক্ষা সামগ্রী লাইট, মাইক, জুতা ইত্যাদি বিতরণ করেন। তাছাড়া হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরন চেক বিতরণ করেন।
সাম্প্রতিক গজনি এলাকায় হাতির আক্রমনে মৃত দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৩ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল কবীর, শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মো. মহমুদুর রহমান, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি, বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. রেজা খান প্রমুখ।